ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিলো বাংলাদেশ। গ্রুপ ম্যাচে ভারতকে ১-০ গোলে হারানোর আত্নবিশ্বাসতো ছিলোই। সে আত্নবিশ্বাস থেকেই কিনা শুরুতেই প্রাধান্য বিস্তার করে খেলার চেষ্টা ছিলো সাইফুল বারী টিটুর মেয়েদের।
নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর উভয় দলই পেনাল্টিতে ১১টি করে গোল করে। পরে বাইলজ অনুযায়ী টসভাগ্যে ভারতকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা। এর জেরে মাঠ ছেড়ে যায় ভারতীয় দল।
এর আগে ম্যাচ শুরুর পর চতুর্ধ মিনিটে সাগরিকার জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন ভারতের গোলরক্ষক আনিকা দেবী।
৮ম মিনিটে নিতু লিন্ডার থ্রু পাস থেকে অফসাইড ট্রাপ ভেঙে ভারতকে এগিয়ে দেন ১২ নাম্বার জার্সিধারী শিবানী দেবী। এই সময় বাংলাদেশের গোলরক্ষক স্বর্ণা রাণী মন্ডল এগিয়ে এসেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচেও নেপালের বিপক্ষে একইরকম ভুল করেছিলেন স্বর্ণা।
৩৪ মিনিটে অনেকটা একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে এগিয়ে দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন স্বপ্না রাণী। কিন্তু ডানপ্রান্তের বার ঘেষে বল বাইরে দিয়ে চলে যায়।
৩৮ মিনিটে আরেকটা দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন সাগরিকাই। কিন্তু এবার বল সরাসরি ভারতীয় গোলরক্ষকের হাতে চলে যায়।
৪৭তম মিনিটে আবারও দূরপাল্লার শট বাংলাদেশের। কিন্তু রুমা আক্তারের শটটাই বারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের মেয়েদের খেলা ছিলো তুলনামূলক অগোছালো। বিশেষকরে বল রিসিভ করে তা ধরে রাখতে পারছিলেন না আফঈদা – স্বপ্না রাণীরা।
৬৯ ও ৭৯ মিনিটে দুই কর্নার পেয়েও বলার মতো কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিক বাংলাদেশ দল।
৮৩ মিনিটে বেশ কয়েকজনকে কাটিয়ে গোলের একটা সম্ভাবনা জাগিয়েও হতাশ করেন প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে গোলকরা মুনকি আক্তার। তার নেয়া দুর্বল শট সরাসরি ভারতীয় গো্লরক্ষকের সামনে গিয়ে পড়ে।
৮৭ মিনিটে স্বপ্না রাণীর কর্নার কিকটি সরাসরি গোলবারের ওপর লেগে বাইরে চলে যায়।
৮৮ মিনিটে পূজার শট বাংলাদেশ শিবিরে কাপন ধরিয়েছিলো। অবশ্য তা ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক।
ইনজুরির কারণে চার মিনিট যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে সাগরিকার গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। আফিদার বাড়ানো শট ভারতের অধিনায়ক নিতু লিন্ডা হেড নিলেও তা পুরোপুরি প্রতিহত করতে পারেন নি। বল পেয়ে গোল করেন সাগরিকা।