চরম নাটকীয়তার পর সফরকারী পাকিস্তান নারী দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় করেছে বাংলার বাঘিনীরা। প্রথম ম্যাচে হার। টাই হওয়া দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে জয় পেয়ে সিরিজে সমতা ফেরানো। আর তৃতীয় ম্যাচে তো সফরকারীদের পাত্তাই দিল না। ৭ উইকেটে সফরকারীদের হারানোর পাশাপাশি ২-১ ব্যবধানে সিরিজও জয় করে নিয়েছে নিগার সুলাতানারা।
এর ফলে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে উভয় সিরিজ জয় করলো বাংলার বাঘিনীরা। পাকিস্তানের ৯ উইকেটে করা ১৬৬ রানের জবাবে বাংলাদেশের মেয়েরা ৪৫.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় ১৬৭ রান তুলে নেয়।
একটা রেকর্ডও গড়েছেন বাংলাদেশের ফারজানা হক ও মুর্শিদা খাতুন। প্রথম উইকেটে তারা ১২৫ রান করেছেন। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে এটি রেকর্ড। এর আগে এ রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন শুক্তারা রহমান ও শারমিন আক্তার। তাদের জুটি ছিল ১১৩ রানের।
টস জয়ের পাকিস্তান অধিনায়ক আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অসাধারণ সূচনা ছিল তাদের। প্রথম উইকেট জুটি বাংলাদেশের বোলারদের দুঃশ্চিন্তা শুধু বাড়িয়েই চলেছিল। শাদাব শামস ও সিদরা আমিন ৬৫ রানের জুটি গড়েন। সিদরা আমিন ব্যাটিং থ্রু দ্য ইনিংস ব্যাট করে ৮৪ রান করেন। ১৪৩ বলে তিন বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।
পাকিস্তানের পরেরর ব্যাটাররা শুধু আসা যাওয়ার মিছিল করেছেন। ফলে শেষ আট ব্যাটারের মাত্র একজন দুই অঙ্কের রানের দেখা পেয়েছেন।
বাংলাদেশের নাহিদা আক্তার ছিলেন সফল বোলার। ৩ উইকেট শিকার তার। প্রথম উইকেট জুটিও ভাঙ্গেন তিনি। রাবেয়া খান পেয়েছেন দুই উইকেট।
বাংলােদেশের দুই ওপেনার ফারজানা হক ও মুর্শিদা খাতুন যেভাবে ব্যাট করেছেন তাতে জয় নিয়ে সতীর্থদের দুঃশ্চিন্তা করতে হয়নি। ১২৫ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ তাদের। ৬২ রান করেছেন ফারজানা হক। ৫৪ রান মুর্শিদার।
প্রথম উইকেট পতনের পর একটা ছোট্ট ঝড় বইয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংসের ওপর দিয়ে। তিন রানে তিন উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সোবহানা মুস্তারি আর কোনো বিপদ হতে দেননি। ৩০ বলে ১৯ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। ২৫ বলে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















