ফারজানাকে হতাশায় ডুবিয়ে সিরিজে ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথম ওয়ানডে জয়ে সিরিজে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল। সম্ভাবনা ছিল দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ে আগেভাগে সিরিজ নিশ্চিত করা। শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে পারেনি নিগার সুলতানারা। ৮ উইকেটে হেরেছে। ৪ উইকেটে বাংলাদেশের করা ২২২ রানের জবাবে স্বাগতিক দল ২৯ বল হাতে রেখে ২ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।

তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতা। আগামী ২৩ ডিসেম্বর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকার এ জয়ে হতাশায় ডুবেছেন বাংলাদেশের ওপেনার ফারজানা হক। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে সেঞ্চুরি- খুবই বিরল এক বিষয়। সেখানে চার মাসের ব্যবধানে ওয়ানডেতে দুই সেঞ্চুরি পেয়েছেন ফারজানা হক পিংকি।

২০২৩ সালের আগে টাইগ্রেসদের কোনো সেঞ্চুরি ছিল না। এ বছরের জুলাইয়ে ফারজানা হক বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি উপহার দেন। সেই ফারজানার হাত ধরে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছে। তার করা তিন অঙ্কের এই যাদুকরী রানের সুবাদে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান করেছিল। ১০২ রান করেন ফারজানা।

প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাম বাংলাদেশ। শুরুটা ছিল দারুণ। দুই ওপেনার ফারজানা হক ও শামীমা সুলতানা স্বাগতিক বোলারদের হতাশা উপহার দিয়ে রানের চাকা ঘুরিয়েছেন। দলীয় ৪৮ রানে যখন প্রথম উইকেটের পতন হয় তখন শামীমার রান ২৮। এ সময়ে মূলত বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ছোট্ট এক ঝড় বইয়ে যায়। সেই ঝড়ে শামীমার পাশাপাশি মুর্শিদা খাতুনের উইকেটও উড়ে যায়।

নতুন ব্যাটার অধিনায়ক নিগার সুলতানা যে খুব বেশি অবদান রাখতে পেরেছেন তা নয়, তবে দীর্ঘক্ষণ ফারজানা হককে সঙ্গ দিয়েছেন। ৩৩ বলে ১৩ রান করেছেন তিনি। বাংলাদেশের বড় জুটিটি হয় চতুর্থ উইকেটে। ফাহিমা খাতুন ও ফারজানা হক এ জুটিতে দলকে ৯৩ রান এনে দেন। দারুণ একটা ইনিংস খেলেছেন ফাহিমা খাতুন। ৪৮ বলে করেছে ৪৬ রান। সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং তার। তিনটি মাত্র বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

ফারজানা হক তার অসাধারণ ইনিংসটি খেলেছেন ১৬৭ বলে। ১১টি বাউন্ডারি তার ইনিংসে। অল্পের জন্য ব্যাটিং থ্রু দ্য ইনিংস ব্যাট করতে পারেননি তিনি। ৪৯.২ ওভারে আউট হন এই ওপেনার। ফারজানা তার প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ভারতের বিপক্ষে। মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে খেলা তার সেই সেঞ্চুরিটি ছিল ১০৭ রানের।

জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের জন্য কখনো দুঃশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি। বরং সহজ জয়ের পথে হেঁটেছে তারা। বাংলাদেশের বোলাররা তাদের ওপর কোনো চাপই তৈরি করতে পারেনি। তাদের দুই ওপেনার লাউরা ওলভার্ট (৫৪) ও তানজিম বিটসের (৫০) পাশাপাশি আনিকা বশ (৬৫) আর সুনে লাসের (৪৭) চমৎকার ব্যাটিংয়ে তারা সহজ জয় তুলে নেয়। ওলভাট ও তানজিম প্রথম উইকেটে ১০৬ রান করেন। দুই ওপেনার দলীয় ১০৬ রানে আউট হওয়ার পর আনিকা বশ ও সুনে লাস দলকে জয় এনে দেন।

Exit mobile version