“ফ্রান্সের আইন খাটবেনা অলিম্পিক ভিলেজে, হিজাব পরতে পারবেন নারী অ্যাথলেটরা”

ফাইল ছবি

২০০৪ সালে ফ্রান্স স্কুলে মাথার স্কার্ফ বা হিজাব পরিধান নিষিদ্ধ করেছিল এবং ২০১০ সালে জনসমক্ষে পুরো মুখের পর্দার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল এরপর ২০২১ সালে ১৮ বছরের কম বয়সীদের প্রকাশ্যে হিজাব পরা নিষিদ্ধের প্রস্তাব সিনেটে পাশ করা হয়। এই নিয়ে হয়েছে অনেক সমালোচনা-আন্দোলন। তবে এবার অলিম্পিক ভিলেজে ফরাসি ক্রীড়াবিদরা তাদের দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী অলিম্পিক গেমসের সময় হিজাব পরিধান করতে পারবেন না।

ফ্রান্স সরকার জানিয়েছে, আগামী বছর অনুষ্ঠেয় অলিম্পিকে ফ্রান্সের হয়ে যে নারী খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করবেন, তারা কেউ হিজাব পরতে পারবেন না। এদিকে হিজাব প্রসঙ্গে ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী অ্যামেলি ওদেয়া-কারতেরা বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে সম্মান করার জন্য অলিম্পিক গেমসের সময় দেশটির ক্রীড়াবিদদের হিজাব পরতে নিষেধ করা হচ্ছে।

এদিকে এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি অনুমতি দিয়েছে অলিম্পিক ভিলেজে ক্রীড়াবিদরা চাইলে হিজাব বা স্কার্ফ পরতে পারবেন। অলিম্পিকে হিজাব পরিধানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইওসি। এ বিষয়ে আইওসির একজন মুখপাত্র বলেন, হিজাব বা অন্য কোনো ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক পোশাক পরার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

অন্যদিকে ফ্রান্সের এই হটকারী সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর। সেই জের ধরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্স সরকারের এই নিয়ম প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নেওয়া অন্যান্য দেশের নারী খেলোয়াড়দের জন্য বহাল থাকবে না। অর্থাৎ তারা চাইলে হিজাব পরতে পারবেন।

২০২৪ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হবে ৩৩তম গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পরবর্তী আসর। এই আসরকে সামনে রেখে অ্যাথলেটরা তাদের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। অলিম্পিক ট্যুরিস্টরাও স্বপ্ন দেখছেন ইউরোপের দেশটিতে ঘুরে দেখার। ২০২০ সালে কোভিড মহামারি তে টোকিও অলিম্পিকে ছিলো নানা বিধিনিষেধ। এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া যজ্ঞ এক বছর পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০২১ সালে। সে আসরের এক বছর আগেই ফরাসি সরকারের হিজাব বিতর্ক নতুন করে প্রশ্ন তুলে তাদের পরমত সহিষ্ণুতা নিয়ে।

Exit mobile version