বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে মাস সেরা নাহিদা

ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন টাইগ্রেস স্পিনার নাহিদা আক্তার। প্রথম বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন এই স্পিনার।

সম্ভাবনাটা আগেই তৈরি করেছিলেন নাহিদা। মাস সেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে যে তিনজন ছিলেন তাদের মধ্যে দুইজন ছিলেন বাংলাদেশর। নাহিদা আক্তারের পাশাপাশি ছিলেন স্বদেশি ফারজানা হক এবং পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবালকে। ফলে একটা সম্ভাবনা আগে থেকে ছিল নাহিদার।

আজ (সোমবার) আইসিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নারী ও পুরুষ ক্রিকেটে নভেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করে। নাহিদা আক্তার ছাড়াও পুরুষ ক্রিকেটে মাসসেরার পুরস্কার জিতেছেন সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের নায়ক অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড।

গত আগস্টে পাকিস্তান নারী দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ নারী দল। এরপর নভেম্বরে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ। সেখানে বড় অবদান ছিল নাহিদা আক্তারের। পাকিস্তান নারী দলকে ২-১ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ নারী দল। যেখানে ৭ উইকেট শিকার করে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন নাহিদা। তার বোলিং গড় ছিল মাত্র ১৪।

মাসসেরা হয়ে উচ্ছ্বসিত নাহিদা তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এই মুহূর্তটা উদযাপনের।’ আরও যোগ করেন, ‘ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের এমন অভিজ্ঞ প্যানেল দ্বারা স্বীকৃতি পাওয়াটা আমার কাছে অনেক কিছু এবং আইসিসির নভেম্বর মাসের সেরা নারী ক্রিকেটার হওয়াটা অনুপ্রেরণার বড় উৎস আমার জন্য।’ এর আগে অক্টোবরে মনোনয়ন পেয়েছিলেন নাহিদা আক্তার। সেবার অবশ্য শেষ হাসি হাসতে না পারলে এবারই ঠিকই সাফল্যের হাসি হেসেছেন নাহিদা।

পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে হারলেও নাহিদা আক্তার নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। পরের ম্যাচে ১ উইকেট নেন নাহিদা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে আবার বোলিংয়ে এসে ৭ রান দিয়ে দুটি উইকেটই নেন। সে ম্যাচে জিতে সিরিজে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন নাহিদা। সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি নাহিদা আক্তার। ৪৮ উইকেট নিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তিনে নাহিদা।

Exit mobile version