বাংলাদেশ নারী ফুটবলে নতুন ইতিহাসের সৃষ্টি হলো। মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের টিকিটের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচের ফলাফলে নিজেদের জায়গা চূড়ান্ত করল। বুধবার ইয়াঙ্গুনের থুয়ান্না স্টেডিয়ামে বাহরাইনের বিপক্ষে তুর্কমেনিস্তানের ২-২ গোলে ড্রয়ে নিশ্চিত হয়ে যায়—এবার এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলছে বাংলাদেশ।
পিটার বাটলারের শিষ্যদের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক অর্জন। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ ফুটবলের মূলপর্বে জায়গা করে নিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। এ পর্যন্ত দুই ম্যাচে শতভাগ জয় তুলে নিয়েছে তারা—বাহরাইনকে ৭-০ এবং র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে।
গ্রুপ ‘সি’-তে এখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট, যা অন্য কোনো দলের ছোঁয়ার বাইরে। বাইলজ অনুযায়ী, পয়েন্ট সমান হলেও প্রথম বিবেচনায় আসে হেড টু হেড রেকর্ড। সেই জায়গায় মায়ানমার ও বাহরাইন উভয়কে হারানোয় টাইগ্রেসদের সুনিশ্চিত হয়েছে শীর্ষস্থান।
এখন গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচটি নিছকই আনুষ্ঠানিকতা। তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে জয় পেলেও, হারলেও গ্রুপ শীর্ষস্থান ও মূলপর্ব নিশ্চিত। তবে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার লক্ষ্যে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে চায় আফিদা-ঋতুপর্ণারা।
এর আগে ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল একমাত্রবারের মতো এশিয়া কাপে অংশ নিয়েছিল। সে সময় ইরাকের নাম প্রত্যাহার এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ও ড্রয়ের সুবাদে সুযোগ তৈরি হয়েছিল। নারী ফুটবলে সেই ইতিহাসও ছাড়িয়ে গেছে এই দলটি—শুধুমাত্র নিজেদের মাঠের পারফরম্যান্সেই তারা আজ এশিয়ার বড় মঞ্চে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















