চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এবার টুর্নামেন্টের আয়োজক শ্রীলঙ্কা। অংশ নিচ্ছে বিশ্বের সেরা আটটি নারী ক্রিকেট দল, যার একটি বাংলাদেশ। তবে বিশ্বমঞ্চে নামার আগে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে না নিগার সুলতানাদের দল। একমাত্র ভরসা প্রস্তুতি ম্যাচ ও ঘরোয়া আয়োজন।
আইসিসি মঙ্গলবার নারী বিশ্বকাপের অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি প্রকাশ করেছে। এতে জানা গেছে, বাংলাদেশ দল দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে—একটি শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে এবং অপরটি শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের বিপক্ষে। ২৫ সেপ্টেম্বর কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ‘এ’ দলের মুখোমুখি হবে টাইগ্রেসরা। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে লঙ্কান মূল দলের বিপক্ষে খেলবে তারা।
তবে এই দুটি ম্যাচ বাদ দিলে বিশ্বকাপের আগে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকছে না বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য। ফলে নিজেদের ফিটনেস ও পারফরম্যান্স ধরে রাখতে দলটি মনোযোগী হয়েছে দেশীয় পর্যায়ের প্রস্তুতিতে।
নারী দলের নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ শিপন জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ নারী দল সিলেটে প্রস্তুতি ক্যাম্পে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “২৯ জুলাই ক্যাম্প শেষ করে দল ঢাকায় ফিরবে। এরপর একটা ছোট বিশ্রামের সময় পাবে মেয়েরা। আগস্টের ৮ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত আবার ক্যাম্প শুরু হবে।”
এতেই শেষ নয়। এই ক্যাম্পের পর আয়োজিত হবে ‘চ্যালেঞ্জ সিরিজ’ নামে একটি বিশেষ ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। শিপন জানান, “এই সিরিজে সিনিয়র খেলোয়াড়দের নিয়ে দুইটি দল এবং অনূর্ধ্ব-১৫ দলের সমন্বয়ে তিনটি দল গঠন করা হবে। একপ্রকার ত্রিদেশীয় সিরিজের আদলে হবে এই আয়োজন, যেখানে মেয়েরা একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। ম্যাচগুলো হবে বিকেএসপিতে।”
এই চ্যালেঞ্জ সিরিজের মাধ্যমে মূল দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে নবীনদের পারফরম্যান্স যাচাইয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এর মাধ্যমে নির্বাচকেরা আরও ভালোভাবে বিশ্বকাপের জন্য উপযুক্ত স্কোয়াড গঠনে আত্মবিশ্বাসী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিরিজ শেষে আরও একটি স্কিল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। এরপর প্রয়োজন হলে কিছু প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ আয়োজনেরও পরিকল্পনা রয়েছে। সবশেষে ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দেবে।
বিশ্বকাপের দল কবে ঘোষণা হবে—এই প্রশ্নের জবাবে নির্বাচক শিপন বলেন, “আমরা চিন্তা করছি সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখের আগে বা পরে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করবো। তবে তার আগেই আইসিসিতে স্কোয়াড জমা দিতে হবে। সফরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করা হবে।”
দীর্ঘ এই প্রস্তুতি প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ না থাকলেও, ঘরোয়া ম্যাচ ও বিশেষ সিরিজের মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত রাখার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ নারী দল। বিশ্বকাপে সফল হতে এই প্রস্তুতিই হবে মূল চাবিকাঠি।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















