ভুটানের নারী ফুটবল লীগে খেলতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের আরও চার নারী ফুটবলার। এরা হলেন মারিয়া মান্ডা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, সানজিদা আক্তার ও কৃষ্ণা রাণী সরকার। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন খেলবেন থিম্পু সিটির হয়ে। আর কৃষ্ণা রাণী খেলবেন ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে।
সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের ১০ জন নারী ফুটবলার ভুটানের লীগে খেলতে যচ্ছেন।
ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেড শুরুতে সাগরিকাকেও দলে নিতে চেয়েছিলো। কিন্তু বয়স ১৮ পূর্ণ না হওয়ায় ফিফার আইন অনুসারে দেশের বাইরে পেশাদার লীগে খেলতে পারছেন না সাগরিকা। ফলে সে জায়গায় তারা নিয়েছে কৃষ্ণাকে।
গত ৬ এপ্রিল, ভুটানের লিগে প্রথম দফায় খেলতে যান মাতসুশিমা সুমাইয়া, সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমা। এরা সবাই খেলবেন পারো এফসি’র হয়ে। ঈদের আগেই তাদের ভুটান যাওয়ার কথা ছিলো। পরে তা পিছিয়ে ৬ এপ্রিল করা হয়েছে।
১১ এপ্রিল মাসুরা পারভিন ও রুপনা চাকমার ভুটান যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। এই দুইজন ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে খেলবেন। এবার তাদের সাথে যোগ দিচ্ছেন কৃষ্ণা।
একই ফ্লাইটে তাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন মারিয়া, শামসুন্নাহার, সানজিদা ও কৃষ্ণা।
আগামী ১৫ এপ্রিল শুরু হচ্ছে ভুটানের নারী ফুটবল লীগ। যা চলে প্রায় ছয় মাস ধরে। ভুটানের লীগ চলাকালে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হলে তারা দেশে চলে আসবেন।
বাংলাদেশের যে কোন ফুটবলারের মধ্যেই দেশের বাইরে লীগ খেলার বিচারে এগিয়ে আছেন সাবিনা খাতুন। মালদ্বীপের লীগে বেশ কয়েকবারই তিনি খেলেছেন। খেলেছেন ভারতের লীগেও। কোলকাতার ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে খেলেছেন সানজিদা আক্তার।
গত বছরের আগস্টে রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসি’র হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন সাবিনা, ঋতুপর্ণা, মারিয়া ও মনিকা। এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার জন্য গিয়েছিলেন তারা।
পারো এফসি : মাতসুশিমা সুমাইয়া, সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমা।
ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেড: মাসুরা পারভিন, রুপনা চাকমা ও কৃষ্ণা রাণী সরকার।
থিম্পু সিটি : মারিয়া মান্ডা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, সানজিদা আক্তার।