শেষ ম্যাচ হেরে নিগার সুলতানাদের সিরিজ ড্র

৩ ‍ডিসেম্বর ঐতিহাসিক এক মুহুর্তের জন্ম দিয়েছিলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিলো ১৩ রানে। এবার তাদের সামনে সুযোগ ছিলো সিরিজ জিতে আরও বড় কিছু করার। শেষ পর্যন্ত ১-১ ব্যবধানে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো নিগার সুলাতানাদের।

দেশের নারী ক্রিকেটারদের জন্য এই অর্জনটাও অনেক বড়। বিশেষকরে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের মাটিতে তাদের নৈপূণ্য স্বপ্ন দেখাচ্ছে বড় কিছুর। ছেলেদের মতো নারীদের ক্রিকেটেও আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা বেড়েছে। ফলে ক্যারিয়ার হিসেবে ক্রিকেটকে বেছে নেয়ারও সাহস দেখাতে পারছেন অনেক তরুণী।

কিম্বারলিতে অবশ্য সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে প্রোটিয়া মেয়েদের সামনে রীতিমতো উড়ে গেছে বাংলাদেশ। হেরেছে ৮ উইকেটে।

টস হেরে আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ তুলতে পেরেছিলো মাত্র ৯৪ রান। স্বল্প পুঁজির এই রান টপকাতে সমস্যাই হয়নি তাদের। ৮ উইকেট আর ২৮ বল হাতে রেখেই টপকে যায় প্রোটিয়ারা।

আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায়। ৪ রানেই হারায় ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ও তিন নম্বরে ক্রিজে আসা সোবহানা মোস্তারির উইকেট। ১৭ রানে ফিরে যান আরেক ওপেনার শামিমা সুলতানা। আশা ভরসার প্রতীক জ্যোতিও এদিন হতাশ করেছেন।

২০ বলে ১১ রান করে অধিনায়ক নিগার আউট হলে বাংলাদেশ পড়ে হুমকির মুখে। শেষ ৩৪ বলে বাংলাদেশ তোলে ৪৮ রান। যে রান এসেছে মূলত লতা ও স্বর্ণা আক্তারের সৌজন্যে। দুজনে মিলে গড়েছেন ৩১ বলে ৪৬ রানের জুটি। ৪২ রান করেন লতা।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা আইয়ান্দা হুবি মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার জয়টা সহজ করে দেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই দুই উইকেট তুলে নেন ১৯ বছর বয়সি এই মিডিয়াম পেসার। এছাড়া মুসাবাতা ক্লাসও নেই দুই উইকেট। বাংলাদেশের অন্য উইকেটটি পেয়েছেন ডেলমি টাকার।

৯৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন টাজমিন ব্রিটস ও লরা ভলভার্ট। তাদের ২৬ বলে ৩৫ রানের জুটি প্রোটিয়াদের জয়ের ভিত শক্ত করে দেয়। এরপর ৫২ রানে আনিকা বোশ ফিরে গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকা সহজেই জয় পেয়েছে। অধিনায়ক লরা ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে প্রথম টি–টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৩ রানে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। তৃতীয় ম্যাচ হেরে যাওয়ায় সিরিজ শেষ হলো সমতায়।

এই জয়ে যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা।

এদিকে, দুই দলের ওয়ানডে সিরিজ তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৬, ২০ ও ২৩ ডিসেম্বর। এর আগে ১২ তারখি একটি প্রস্তুতিমূলক ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।

Exit mobile version