নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক করায় তৈরি হয়েছিল নানা আলোচনা-সমালোচনা। শান্তর সঙ্গে আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অনেকেই মনে করেছিলেন, এ ঘটনা দুজনের বন্ধুত্বে চিড় ধরাবে। এমনকি শান্ত নিজের অভিমানে টেস্ট নেতৃত্বও ছেড়ে দেন। কিন্তু মাঠের দৃশ্য বলছে ভিন্ন কথা।
আজ কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুশীলনে দেখা গেল এক ভিন্ন চিত্র। হাসিখুশি মুখে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে, কখনো স্ট্রেচিং আবার কখনো ব্যাট-বল নিয়ে দুষ্টুমি করতে দেখা গেল শান্ত ও মিরাজকে। যেন কোনো রেষারেষি নেই, নেই কোনো দুঃখবোধ—শুধু এক বন্ধুত্বের স্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশ।
সকালে অনুশীলনের শুরুতে ছিল দলীয় বৈঠক। এরপর ফিটনেস সেশনে শান্ত-মিরাজকে পাশাপাশি দেখা যায়। মাঠের বিভিন্ন অনুশীলনেও তারা ছিলেন স্বাভাবিক এবং চিরচেনা রসিকতায় ভরা। এই দৃশ্য দেখে অনেকেই বুঝতে পেরেছেন—পদ বা ভূমিকায় পরিবর্তন হলেও বন্ধুত্বে কোনো ফাটল ধরেনি।
দুজনের সম্পর্ক শুরু বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে। একসঙ্গে খেলেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে, গড়ে উঠেছে এক গভীর বোঝাপড়া। সেই সম্পর্ক বহাল থেকেছে জাতীয় দল পর্যন্ত। অধিনায়কত্বের সিদ্ধান্ত বিসিবির হলেও, ব্যক্তিগত সম্পর্কের স্থায়িত্ব যেন তার ঊর্ধ্বে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে যেখানে নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন নতুন নয়, সেখানে শান্ত-মিরাজ দেখালেন বন্ধুত্বের বড়ত্ব।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩














