কলম্বোতে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ধসের পর বল হাতে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখতে পারেনি টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত অলআউট করলেও ততক্ষণে শ্রীলঙ্কার লিড ২১১। ফলে স্বাগতিকদের বেধে দেওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে টাইগাররা। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ২৪৭ রানের জবাবে ৪৫৮ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন পাথুম নিশাঙ্কা। এছাড়া দিনেশ চান্দিমাল ৯৩ আর কুশল মেন্ডিস ৮৪ রান করেছেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৩ উইকেট নিজের পকেটে পুরেছেন নাঈম হাসান। দলকে লড়াইয়ে ফেরাতে তৃতীয় দিনে চেষ্টার কমতি ছিল না বোলারদের। ১৬৮ রান দিয়ে এদিন লঙ্কানদের ৮ উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগাররা।
আগের দিন ১৪৬ রানে অপরাজিত থাকা নামা নিশাঙ্কা এদিন ১২ রান করে তাইজুল ইসলামের শিকার হন। ২৫৪ বলে ১৯ চারের মারে ১৫৮ রানে থামে তার ইনিংস। এর কিছুক্ষণ পর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকেও সাজঘরের পথ দেখান তাইজুল। ১০ বলে ৭ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন লঙ্কান অধিনায়ক।
আর আগের দিন নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে ক্রিজে নামা প্রবাত জয়াসুরিয়াকে ফেনার নাহিদ রানা। ৩৯ বলে ১০ রান করেন প্রবাত। পরপর ৩ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস ও কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে ষষ্ঠ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
তবে তাদের জুটিকে ৫০ পেরোতে দেননি নাঈম। ৩৩ রান করা কামিন্দুকে বোল্ড করেন তিনি। ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৪০১ রান করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। এরপর ৫৭ রান তুলতে বাকি ৪ উইকেট হারায় তারা।
একপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন কুশল মেন্ডিস। ৮৭ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রান করে রান আউট হলে আর বেশিদূর এগোতে পারেনি লঙ্কানরা। তৃতীয় দিনে টাইগার বোলাররা দাপট দেখালেও ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে মূলত দ্বিতীয় দিনের খেলা।
২ উইকেটে ২৯০ রানে দিন পার করেছিল স্বাগতিকরা। লিডও নিয়ে ফেলেছিল ৪৩ রানের। চান্দিমাল ৯৩ আর লাহিরু উদারা ৪০ রান করে আউট হলেও নিশাঙ্কার ব্যাটিং দাপটের কাছে হার মানতে হয়েছিল তাইজুলদের।
ফলে ২১১ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বিপদে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১৫ রান। এখনও শ্রীলঙ্কার চেয়ে ৯৬ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল লিটন ১৩ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন। এছাড়া একে একে বিদায় নিয়েছেন সাদমান ১২, এনামুল হক বিজয় ১৯,মুমিনুল ১৫,শান্ত ১৯ ও মুশফিক ২৬ রানে। ফলে এই টেস্ট বাঁচানোই এখন মুশকিল। বাকি ৪ উইকেট নিয়ে দুই দিন লড়াই করা অসম্ভব।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩











