এবারের ফিডে দাবা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চলেছে ভারত। ৩০ অক্টোবর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট, সোমবার (২১ জুলাই) এক বিবৃতিতে তথ্য নিশ্চিত করেছে বিশ্ব দাবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিডে। আয়োজক শহরের নাম পরে ঘোষণা করা হবে।
টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন মোট ২০৬ জন দাবাড়ু। বিশ্বকাপ শিরোপার পাশাপাশি থাকছে ২০২৬ সালের ফিডে ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। নকআউট পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিশ্বকাপ, যেখানে প্রতিটি পর্বে পরাজিত দাবাড়ু বিদায় নেবেন।
ফিডে জানিয়েছে, “বিশ্বকাপ নানা সময়ে নানা ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হলেও ২০২১ সাল থেকে চলছে একক এলিমিনেশন ফরম্যাট। প্রতিটি রাউন্ড তিনদিনব্যাপী হয়—প্রথম দুইদিন দুইটি ক্লাসিক্যাল ম্যাচ এবং তৃতীয় দিনে টাইব্রেকার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, প্রয়োজনে।”
২০২৫ বিশ্বকাপের শীর্ষ তিনজন সরাসরি জায়গা পাবেন ২০২৬ সালের ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টে, যেখান থেকে ঠিক হবে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যালেঞ্জার।
চলতি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গুকেশ, ২০২৩ বিশ্বকাপের রানারআপ আর প্রাগ্নানান্ধা, বর্তমান বিশ্ব র্যাংকিংয়ের পাঁচ নম্বর আরজুন এরিগাইসি এবং বিশ্ব এক নম্বর ম্যাগনাস কার্লসেন সহ বিশ্বের শীর্ষ দাবাড়ুরা অংশ নেবেন এবারের টুর্নামেন্টে। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিলেন কার্লসেন।
ভারত এর আগেও বড় বড় দাবা ইভেন্ট আয়োজন করেছে। হায়দ্রাবাদে ২০০২ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল দেশটি, যেখানে শিরোপা জিতেছিলেন বিশ্বনাথন আনন্দ। এছাড়া ২০২২ সালের দাবা অলিম্পিয়াড, টাটা স্টিল চেস ইন্ডিয়া, ২০২৪ সালের বিশ্ব জুনিয়র (অনূর্ধ্ব-২০) চ্যাম্পিয়নশিপ এবং চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ফিডে উইমেন্স গ্র্যান্ড প্রিক্সের পঞ্চম পর্ব আয়োজন করেছে ভারত।
ফিডে সিইও এমিল সুটোভস্কি বলেন, “ভারতের চেসবান্ধব পরিবেশ এবং দর্শকদের দারুণ আগ্রহ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। বিশ্বকাপ ২০২৫ ভারতে নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা আশা করি অনলাইনে এবং মাঠে দুইভাবেই টুর্নামেন্ট ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাবে।”
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩











