নার্সিংয়ের শিক্ষার্থী হয়েও ফেন্সিংয়ের মাঠে সাফল্য কুড়োচ্ছেন এমিলি রায় ইশা। মাত্র কয়েক বছর আগেও ফেন্সিং খেলার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না তিনি। ২০২১ সালে মিরপুর বাংলা কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় প্রথমবার খেলার প্রতি আগ্রহ জন্মে। পরের বছর নার্সিংয়ে ভর্তি হলেও থেমে থাকেননি, বরং ফেন্সিংয়েই খুঁজে পেয়েছেন নিজের নেশা।
ইশা বর্তমানে মিরপুর সাইক নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, “এখানে প্রচুর কষ্ট করা লাগে। কলেজে ৮০ ভাগ উপস্থিত থাকা লাগে। যদিও পড়াশুনায় আমি ভালো। সিজিপিও ভালো। খেলা ও পড়া দুটোই সমানভাবে মেইনটেন করি। তাছাড়া আমার ক্লাসমেটরাও অনেক হেলপফুল। তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।”
ফেন্সিংয়ের প্রতি টানটা আসে তরবারি দিয়ে লড়াইয়ের এক প্রদর্শনী দেখে। ২০২২ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার অংশ নিয়েই জুনিয়র বিভাগে সোনা জেতেন তিনি। এরপর দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের ক্যাম্পেও জায়গা করে নেন একমাত্র জুনিয়র হিসেবে। ইশা জানান, “স্যারদের কাছে অ্যাপ্লিকেশন করি। বলেছি আমি ক্যাম্প করতে চাই। এবং পড়তেও চাই। প্রিন্সিপাল স্যার বলেছেন তুমি ছুটিতে থাকো। তবে মিডটার্ম দিয়েছি ২৬ আগস্ট। আমি নার্সিং ও খেলা দুটোই উপভোগ করছি।”
সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জুলাই রেভুলেশন ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ না পেলেও ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি। তবে নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন ইশা। তাঁর ভাষায়, “আমি নিজের খেলায় সন্তুষ্ট না। কারণ যেভাবে প্র্যাকটিসে খেলি সেভাবে খেলতে পারিনি। আরও ভালো করতে পারতাম। কিন্তু এখানে অনেক নার্ভাস হয়ে পড়ি। সিনিয়রদের হারাতে পারব কি পারব না এই ভয় পেয়ে বসেছিল।”
এই প্রতিযোগিতায় ৫টি সোনা, ৫টি রুপা ও ৬টি ব্রোঞ্জ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ আনসার। রানার্স আপ হয়েছে সেনাবাহিনী এবং দ্বিতীয় রানার্স আপ মিরপুর ফেন্সিং ক্লাব। নারী ও পুরুষ মিলিয়ে ১৭৫ জন ফেন্সার অংশ নেন এ আসরে। পুরস্কার তুলে দেন ফেডারেশনের সভাপতি মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩




















