সমর্থকদের টানটান উত্তেজনায় রেখে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশের যুবারা।
শুক্রবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে হারায় ভারতকে। ভারতের করা ১৮৮ রানের জবাবে বাংলাদেশের যুবারা ৪২.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তারা স্বাগতিক আরব আমিরাতের মুখোমুখি হবে। অন্য সেমিফাইনালে ফেভারিট পাকিস্তানকে ১১ রানে হারিয়ে স্বাগতিক আমিরাত ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করেছে।
ফাইনালে খেলার জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৮৮ রানের। রান তাড়া করতে নেমেই শুরুতে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল বাংলাদেশের যুবারা।
২১ রানে দুই উইকেট হারিয়েছিল জুনিয়র টাইগাররা। তবে ৩৪ রানে যখন তৃতীয় উইকেটের পতন হয় তখন দুঃশ্চিন্তা এসে ভর করে। এই দুঃশ্চিন্তার বিষয় ছিল আশিকুর রহমান শিবলির আউট। রান আউট হন তিনি। গ্রপ পর্বে এই আশিকুর ছিলেন আশার প্রতীক।
তিন ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও দুই হাফ সেঞ্চুরি সবচেয়ে বেশি রানের অধিকারী ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তার দিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তার আউট হয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে শঙ্কায় ফেলে দেয়।
৩৪ রানে তিন উইকেট হারানোর পর জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে সবাই যে একটু দুঃশ্চিন্তায় পড়েনি তা নয়। এই অবস্থায় আরিফুল ইসলাম শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন। তার সঙ্গে ছিলেন আহরার আমিন। মূলত এই দুই ব্যাটার চমৎকার ব্যাটিং করে বাংলাদেশের সব বিপদ উড়িয়ে দেন।
অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন আরিফুল। আহরারের সঙ্গে ১৩৮ রানের পার্টনারশিপ তাদের। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন আরিফুল। ৯০ বলে ৯৪ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি ও চারটি ওভার বাউন্ডারি ছিল। তবে আহরার ধীর গতির ব্যাটিং করে উইকেট অক্ষত রেখেছেন। মাত্র ৪৪ রান করেছেন তিনি। এ জন্য খেলেছেন ১০১ বল। মাত্র তিনটি বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংস।
আরিফুল ও আহরারের চমৎকার ব্যাটিংয়ের পরও শেষ দিকে এসে আবার দুঃশ্চিন্তায় পড়েছিল বাংলাদেশ। কেননা এ সময় মাত্র ১৫ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়েছিল।
এর আগে বাংলাদেশ টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। ব্যাট হাতে ভারত যে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না তা অনেকটাই জানা ছিল। কেননা গ্রুপ পর্বে কোনো দলের বিপক্ষেই তাদের ব্যাটিং ভালো হয়নি।
তারই ধারাবাহিকতা এ ম্যাচেও তারা বজায় রেখেছিল। ফলে মাত্র ৬১ রানে তারা ৬ উইকেট হারায়। তবে সপ্তম উইকেটে মুশির খান ও মুরুগান অভিষেক দারুণভাবে বিপর্যয় সামাল দেন। মুশির খান ৫০ রান করেন, অভিষেকের সংগ্রহ ছিল ৬২ রান। তাদের ৮৪ রানের জুটি ভারতকে সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছে দেয়।
বাংলাদেশের মারুফ মৃধা ছিলেন সফল বোলার। ৪১ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া রোহানাত দৌলা বর্ষন দুই উইকেট শিকার করেন।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩











