অন্তরে অতৃপ্তি রবে, সাঙ্গ করি মনে হবে, শেষ হইয়াও হইল না শেষ। ছোটগল্প নিয়ে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই চরণের মতোই অবস্থা বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট। সিলেট টেস্টে প্রথম দিনে সব হারিয়ে দ্বিতীয় দিনে জ্বলে উঠলো টাইগাররা।
যেন শেষ হইয়াও হইল না শেষ! প্রথম দিন শেষে ১৪.১ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে সকালে ব্যাটিংয়ে নতুন বাংলাদেশকে দেখল জিম্বাবুয়ে। শুরুতেই পেসার নাহিদ রানার জোড়া আঘাত। বেন কারান ও ব্রায়ান বেনেট-এর উইকেট তুলে নেন ডানহাতি এই পেসার।
এরপর আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। এবার নিক ওয়েলচকে সরাসরি বোল্ড করেন এই বোলার। ফলে প্রথম সেশনে ২১ রান যোগ করতেই বিদায় নেন জিম্বাবুয়ের ৩ ব্যাটার। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ক্রেইগ এরভিনকে নিয়ে হাল ধরেন উইলিয়ামস।
তারা ৯০ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন। তবে লাঞ্চের আগেই জুটি ভাঙেন নাহিদ। জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮ রান। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে উইলিয়ামসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মাধেভেরে।
তাদের জুটি থেকে আসে ৭৯ বলে ৪৮ রান। এবার মাধেভেরেকে সাজঘরে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন খালেদ আহমেদ। এরপর বড় কোনও জটি গড়তে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এরপর কেবলই মিরাজ শো!
১০৮ বলে ৫৯ রান করা উইলিয়ামসকে ফিরিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের শুরু। এরপর একে একে আরও ৪ ব্যাটারকে ফেরত পাঠান মিরাজ। টেস্ট ক্যারিয়ারে ১১তম বারের মতো ৫হ উইকেট শিকার করেন এই স্পিনার। শিকার। ২০.২ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া নাহিদ রানা ১৮ ওভারে ৭৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট নেন।
শেষ পর্যন্ত ৮২ রানের লিড নিয়ে ২৭৩ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। এর আগে প্রথম দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮২ রানে পিছিয়ে থেকে শেষ বিকেলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তবে দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে আছে ২৫ রানে।
মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ ও মুমিনুল হক ১৫ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন। তবে ওপেনার সাদমান ইসলাম ৪ রান করে বিদায় নেন। বাংলাদেশের লক্ষ্য বাকি ৯ উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিনে নিজেদের ইনিংস বড় করা।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩















