‘এটি একটি অবিশ্বাস্য জয়। অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে আমাদের ২৭ বছর লেগেছে। এই তরুণ দল তা করে দেখিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট আজ শক্তিশালী। আজ আমাদের জন্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য একটি বড় দিন। এই দলের প্রত্যেক সদস্যকে অনেক অনেক অভিনন্দন।’
ব্রায়ান লারা
ছুটেছেন জোসেফ, পেছনে পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। এদিন তাঁকে থামাতে পারেননি স্টিভেন স্মিথও। ব্রিসবেনে দিবারাত্রির টেস্টের চতুর্থ দিন শুরুর পর আলোচনায় ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শামার জোসেফ আর অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ। খাবার বিরতির পর জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ২৯ রান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২ উইকেট।

শেষ হাসিটা অবশ্য হেসেছেন জোসেফই। নাথান লায়নকে ফেরানোর পর জস হ্যাজলউডকে বানিয়েছেন নিজের সপ্তম শিকার আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দশম। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটা আট রানে জিতে এদিন রুপকথা লিখেছেন পেসার শামার জোসেফ।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এর আগের জয়টা এসেছিলো ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। ২৭ বছর পর অজিদের মাটিতে তাঁদের হারানোর কীর্তিটা এদিন চিৎকার করে জানিয়েছেন ইয়ান স্মিথ। ধারাভাষ্যকক্ষে থেকে ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়েছেন কিংবদন্তী ব্রায়ান লারাও। এই তারকা আবেগে এতটাই ভেসেছেন যে, নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।
কমেন্ট্রি বক্সের সেই আবেগঘন মুহূর্ত ভাইরাল হয়েছে টুইটারে। ভিডিওতে ব্রায়ান লারা বললেন, ‘এটি একটি অবিশ্বাস্য জয়। অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে আমাদের ২৭ বছর লেগেছে। এই তরুণ দল তা করে দেখিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট আজ শক্তিশালী। আজ আমাদের জন্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য একটি বড় দিন। এই দলের প্রত্যেক সদস্যকে অনেক অনেক অভিনন্দন।’
এই জয়ে ১-১ সমতায় সিরিজ ড্র করেছে দুই দল। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে এদিন ম্যাচসেরা ও সিরিজ সেরার পুরস্কার নিজের হাতে নিয়েছেন শামার জোসেফ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৩১১ ও ১৯৩।
অস্ট্রেলিয়া : ২৮৯/৯ ডিক্লে. ও ৫০.৫ ওভারে ২০৭ (স্মিথ ৯১*, গ্রিন ৪২, স্টার্ক ২১, খাজা ১০, মার্শ ১০, লায়ন ৯; শামার ৭/৬৮, ২/৬২, গ্রিভস ১/৪৬)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ রানে জয়ী।
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজ ১–১ ড্র।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শামার জোসেফ।
ম্যান অব দ্য সিরিজ : শামার জোসেফ।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















