হাইভোল্টেজ সেমিতে যে পাঁচ পজিশনে লড়াই হবে

ইউরোর শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে টিকে থাকতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রাতে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। ডর্টমুন্ডে বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ১টায় মুখোমুখি হবে দল দুটি।

এই ম্যাচে লড়াই হবে হ্যারি কেইন ও ভন ডাইকের মধ্যে। ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন এখনো পর্যন্ত ইউরোর এবারের আসরে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে জার্মান লিগে খেলার অভিজ্ঞতাও তিনি কাজে লাগাতে পারছেন না। প্রথম মৌসুমে তিনি বায়ার্নের হয়ে ৩৬ গোল করেন। সেমির ম্যাচে দেশের হয়ে লিভারপুল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইকের বিপক্ষে লড়তে হবে তাকে।

এদিকে, দীর্ঘদেহী এই ডাচম্যানও নিজেকে প্রমানে ব্যর্থ হয়েছে। অবশ্য গ্রুপে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হলেও নক আউট পর্বে নিজের জাত চিনিয়েছেন। রক্ষণ সামলে আক্রমণেও ভীতি ছড়িয়েছেন। পুরো দলের মত নক আউট পর্বে দারুণ খেলেছেন ফন ডাইক। ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেটও তার দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকারকে যতটা সম্ভব মাঠে রাখতে চাচ্ছেন। তবে ডাচ রক্ষনভাগ ভেঙ্গে কেইন এই ম্যাচে কতোটা এগিয়ে যেতে পারবেন তা সময়ই বলে দিবে।

অন্যদিকে জমে উঠবে ট্রিপিয়ার বনাম মেম্ফিস ডিপের সেরা প্রমানের। ইংলিশ রক্ষণভাগের বামদিকে কিয়েরান ট্রিপিয়ারকে খেলানো সাউথগেটের সিদ্ধান্তেÍ এটাও ঠিক টিপ্রিয়ারের উপস্থিতি প্রমানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হতে যাচ্ছে নেদাল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। সেখানে ডাচ রাইট-ব্যাক ডেনজেল ডামফ্রাইস রয়েছেন দারুণ উজ্জীবিত। তুরষ্কের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে দলকে জয় উপহার দিয়েছিলেন। ফলে ট্রিপিয়ারের প্রথম কাজ হবে ডামফ্রাইসকে পুরোপুরি অকার্যকর করে দেয়া।

এছাড়া ডাচ লেফট বনাম ইংল্যান্ড রাইটের মধ্যে একটা লড়াই দেখা যাবে। লিভারপুল উইঙ্গার কোডি গাকপো ইউরোতে এখনো পর্যন্ত তিন গোল করে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। নেদারল্যান্ডসের আক্রমণভাগে তিনিই মূল হুমকি। ফলে গাকপোকে আটকাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন। নেদারল্যান্ডসের লেফট সাইডের হুমকিকে নষ্ট করতে চাইবে তাঁরা। বুকায়ো সাকাকে এক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্য খেলাতে পারেন ইংলিশ বস।

বেলিংহাম বনাম শুটেন ও রেইন্ডার্সে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ইংল্যান্ড ও রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম এখনো তার সেরা ফর্ম দেখাতে না পারলেও ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালের পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ২১ বছর বয়সী বেলিংহামের নাটকীয় ওভারহেড কিকে স্লোভাকিয়ার শেষ ষোল থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়। ফলে নেদারল্যান্ডস মধ্যমাঠে টিয়ানি রেইন্ডার্স ও জার্ডি শুটেনকে দিয়ে বেলিংহামকে বাক্সবন্দী করার চেষ্টা করবে।

এছাড়া বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে সাউথগেট বনাম কোম্যানের মধ্যে। সাউথগেট লুক শ,কে মাঠে নামিয়ে সুইসদের বিপক্ষে ১০ মিনিটের মধ্যে ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরান। কোল পালরমারকে বদলী বেঞ্চ থেকে উঠিয়ে আনেন, যাদের গোলে ইংল্যান্ড পেনাল্টিতে ৫-৩ গোলের জয় পায়।