নাটকীয়ভাবে প্রথম ম্যাচে মরক্কোর কাছে ২-১ গোলে হেরে যাওয়ায় গ্রুপেই বিদায় ঘন্টা বেজেছিলো আর্জেন্টিনার। অবশ্য দ্বিতীয় ম্যাচে ইরাককে ৩-১ গোলে হারালো হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল। গ্রুপের অন্য ম্যাচে মরক্কোকে ২-১ গোলে হারিয়ে লড়াই জমিয়ে তুলেছে ইউক্রেন।
‘বি-গ্রুপে’ দুই ম্যাচ শেষে চার দলের সংগ্রহই সমান তিন পয়েন্ট করে। গোলগড়ে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষে আর্জেন্টিনা। যথাক্রমে পরের তিনস্থানে মরক্কো, ইউক্রেন ও ইরাক।
ম্যাচে আর্জেন্টিনার পক্ষে গোল করেন থিয়াগো আলমাদা, লুসিয়ানো গুন্দু ও ইজুকুয়েল ফার্নান্দেজ। ইরাকের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন আইয়েম হোসেনি।
লিও স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে, শুরুতেই কাঙ্খিত লিড পায় আর্জেন্টিনা। ১৩ মিনিটেই ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা হুলিয়ান আলভারেজের বাড়ানো বল পেয়ে আলবিসেলেস্তেদের এগিয়ে দেন থিয়াগো আলমাদা। বিরতিতে যাওয়ার আগে সমতায় ফেরে ইরাক। ইনজুরির কারণে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে দর্শনীয় হেডে গোল করেন আইয়েম হোসেনি।
৫৪ মিনিটে আর্জেন্টিনার পক্ষে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পান আলমাদা। কিন্তু তার নেয়া শট ফিরিয়ে দেন ইরাকের গোলরক্ষক হোসেনি হাসান। আট মিনিট পরই কেভিন জেননের ক্রস থেকে হেডে গোল করেন লুসিয়ানো গুন্দো।
২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর একের পর এক আক্রমণে ইরাকের রক্ষণকে কোনঠাসা করে ফেলে আর্জেন্টিনা। এর ফলও পায় তারা। দ্বিতীয় গোলে অ্যাসিস্ট করা কেভিন জেনন তৃতীয় গোলের পেছনেও ভূমিকা রাখেন। তার বাড়ানো বলেই ডানপ্রান্ত দিয়ে ম্যাচের ৮৪ মিনিটে গোল করে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন ফার্নান্দেজ।
আগামী ৩০ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় বাঁচা-মরার ম্যাচে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা-ইউক্রেন ও মরক্কো-ইরাক।