সব সমালোচককে ভুল প্রমাণ করে আবারও আলো ছড়ালেন কোল পালমার। রবিবার নিউ জার্সির ইস্ট রাদারফোর্ডে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫ ফাইনালে পিএসজি কে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে চেলসি। এই ম্যাচের চেলসির করা তিন গোলের মধ্যে পালমার নিজে করেছেন দুটি গোল এবং এসিস্ট করেছিলেন বাকি গোলটিতে। ম্যাচ শেষে পালমার বললেন, “যারা আমাদের অবমূল্যায়ন করেছিল, তাদের ভুল প্রমাণ করাটা দারুণ অনুভূতি।”
নিউ জার্সির প্রচন্ড গরম, (ফারেনহাইট স্কেলে ৮৫ ডিগ্রির বেশি) তাপমাত্রার মাঝেও বরফ শীতল স্নায়ু দেখালেন এই ইংলিশ তারকা। ম্যাচের প্রথমার্ধের ২২তম মিনিট এবং ৩০তম মিনিটে জোড়া গোল করেই কার্যত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন তিনি। মাত্র ৮ মিনিটের ব্যবধানে করা এই দুই গোলই পিএসজি কে পুরপুরি ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। এরপরে ৪৩ মিনিটে জোয়া পেদরোর করা তৃতীয় গোলটাতেও এসিস্ট করেন তিনি। খেলার প্রথম হাফেই পালমার দুমড়ে মুছড়ে দেন পিএসজি কে।
চেলসির ইতিহাস গড়ার এই রাতের নায়ক ছিলেন নির্দ্বিধায় কোল পালমার। পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ পারফরম্যান্সের সুবাদে জিতে নিয়েছেন গোল্ডেন বল পুরস্কার। চেলসি গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজ জিতেছেন গোল্ডেন গ্লাভস, পুরো টুর্নামেন্টে দুটি ক্লিনশিট ধরে রাখার স্বীকৃতি হিসেবে। অন্যদিকে, গোল্ডেন বুট জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের গনসালো গার্সিয়া, যিনি টুর্নামেন্টে চারটি গোল করেন।
মাত্র মে মাসেই কনফারেন্স লিগ ফাইনালে রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন তিনি। সেদিনও করেছিলেন দুটি গুরুত্বপুর্ন এসিস্ট। এবার ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালেও প্রমাণ করলেন বড় মঞ্চে কতটা কার্যকর তিনি। পরপর দুটি গুরুত্বপুর্ন ফাইনালে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ কোনো সাধারন বিষয় নয়। চেলসির দুটো শিরোপা জয়েই সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করেছেন পালমার।
পালমার ম্যাচ শেষে বলেন,
“আমি ফাইনাল খেলতে পছন্দ করি। আবারও সেটাই হলো। সবাই যখন আমাদের অবমূল্যায়ন করছিল, তখন এইভাবে জবাব দিতে পারাটা বিশেষ কিছু।”
চেলসি কোচ এনজো মারোসকা বলেন,
“আজ আমরা পালমারের জন্য এমন একটা পজিশন খুঁজে পেয়েছিলাম যেখানে সে বেশি ফাঁকা জায়গা পেয়েছে। তবে পুরো দলের প্রচেষ্টাই অসাধারণ ছিল।গরমের কারণে শুরুতেই খুবই আগ্রাসী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। পিএসজি স্পেস পেলে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে, তাই ম্যাচের শুরুতেই ওদের চেপে ধরেছিলাম এবং সেটাই ফল দিয়েছে।”
শেষ পর্যন্ত এই রাত ছিল চেলসির, এই মঞ্চ ছিল কোল পালমারের। যেখানে ইউরোপের সেরা দলগুলো মুখ থুবড়ে পড়লো, সেখানেই চেলসি দেখিয়ে দিলো ফাইনাল মানে তাদের গল্প। বড় ম্যাচ মানেই পালমারের রাজত্ব। মেটলাইফ স্টেডিয়ামের আলো নিভলেও, এই জয়ের ঝলক লন্ডনে বহুদিন ধরে আলো ছড়াবে।
সরাসরি আপনার ডিভাইসে এই পোস্ট বিভাগ সম্পর্কে রিয়েল টাইম আপডেট পান, এখনই সাবস্ক্রাইব করুন।