চেলসির হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা হাতে তুলে এনজো ফার্নান্দেজ যেন প্রমাণ করে দিলেন, পরিশ্রম আর ধৈর্যের কোনো বিকল্প নেই। ক্যারিয়ারের শুরুতে ‘ফ্লপ সাইনিং’ বলে সমালোচিত হওয়া এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এখন চেলসির শিরোপা জয়ের অন্যতম মূল নায়ক।
২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এনজো। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জিতে নেন আসরের সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার। সেখান থেকেই বদলে যায় তার ক্যারিয়ার। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ১২১ মিলিয়ন ইউরোর রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে চেলসিতে যোগ দেন তিনি।
তবে প্রথম মৌসুমেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন এই তরুণ। ইংলিশ ফুটবলের কঠিন বাস্তবতা, প্রচণ্ড গতি আর শারীরিক ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না তিনি। এক পর্যায়ে নিজের সঙ্গেও যুদ্ধ করতে হচ্ছিল তাকে। পারফরম্যান্সে ভাটা পড়ায় সমালোচনার শিকার হন বারবার।
তবে সব প্রতিকূলতা জয় করে এবারের মৌসুমে নিজেকে প্রমাণ করেছেন এনজো। ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের পথে দলের সেরা পারফর্মারদের একজন ছিলেন তিনি। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট করেছেন এবং জায়গা করে নিয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা একাদশে। কনফারেন্স লিগ জয়ের সাথেও বড় ভূমিকা ছিল তার।
নিজের এই জার্নি নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। চেলসির সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন,
“চেলসিতে যখন যোগ দিই, তখন বুঝতে পেরেছিলাম কত বড় একটি চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। শুরুটা কঠিন ছিল। নিজেকে নিয়ে অস্বস্তি ছিল, ম্যাচে স্বস্তি পেতাম না। প্রচুর অনুশীলন করতাম, বাড়তি পরিশ্রম করতে হতো। কিন্তু মালিকের দেখানো প্রকল্প আর ভবিষ্যতের পরিকল্পনা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।”
প্রথম মৌসুমে নিজেকে গুছিয়ে নিতে যে লড়াই করতে হয়েছে সেটাও অকপটে স্বীকার করেছেন এনজো,
“শরীর ভালো লাগছিল না, মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। এরপর নির্দিষ্ট ট্রেইনারের সাহায্য নিই। দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যেই পরিবর্তন বুঝতে পারি। নিজেকে ভালো লাগতে শুরু করে এবং মাঠেও তার প্রতিফলন দেখি। এবার মনে হচ্ছে আমি নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছি।”
চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৩ ম্যাচে ৯ গোল ও ১৭টি অ্যাসিস্ট করেছেন এনজো ফার্নান্দেজ। ক্লাব বিশ্বকাপ এবং কনফারেন্স লিগ মিলিয়ে জিতেছেন দুটি শিরোপা। চেলসিতে এটি তার সবচেয়ে স্মরণীয় মৌসুম বলেই মনে করছেন আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডার।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















