খেলোয়াড় সুরক্ষা নাকি বিজ্ঞাপন প্রচারের নতুন উইন্ড ?
২০২৬ বিশ্বকাপ কে সামনে রেখে ফিফা এমন এক নিয়ম এনেছে, যা শুরু হয়েছে খেলোয়াড়দের সুরক্ষা চিন্তা থেকে, কিন্তু পৌঁছে গেছে বিতর্কের কেন্দ্রে। টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচে দুই অর্ধেই থাকছে তিন মিনিটের বাধ্যতামূলক পানি পানের বিরতি। আবহাওয়া গরম হোক বা ঠান্ডা, ভেন্যু খোলা মাঠ হোক বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, এই নিয়ম সব ম্যাচের জন্যই প্রযোজ্য।

হাইড্রেশন বিরতিটি রাখা হয়েছে প্রতি অর্ধের ২২ মিনিটে। কোনো কারণে ওই সময়ের কাছাকাছি খেলায় বিরতি এলে রেফারি সামান্য নমনীয় হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রধান কর্মকর্তা মানোলো জুবিরিয়া। সম্প্রচারকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনিই এই সিদ্ধান্ত প্রথম প্রকাশ করেন।
আগের বিশ্বকাপেও পানি পানের বিরতি ছিল, তবে সেটা নির্ভর করত তাপমাত্রার ওপর। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি গরম হলে ৩০ মিনিট পর বিরতি দেওয়া হতো। কিন্তু এবার নিয়ম বদলেছে মূলত যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া সাম্প্রতিক ক্লাব বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতার কারণে।
অতিরিক্ত তাপ খেলোয়াড়দের বিপদে ফেলেছিল। বেনফিকার আন্দ্রেস শেলডারাপ সেই ম্যাচের পর বলেছিলেন, এত গরমে ফুটবল খেলা মোটেও স্বাস্থ্যকর মনে হয়নি তার। চেলসির এনজো ফেরনান্দেজ জানিয়েছিলেন, তাপের মধ্যে মাথা ঘোরার মতো অবস্থা হয়েছিল তার।
ফিফা জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের শারীরিক নিরাপত্তা বিবেচনাতেই নতুন নিয়ম এনেছে তারা। কিন্তু এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ ম্যাচে নতুন বিরতি মানে সম্প্রচারেও নতুন সময় তৈরি হওয়া। কেউ কেউ মনে করছেন, এই ব্রেক বিজ্ঞাপনের জন্য নতুন জানালা খুলে দেবে।
ফুটবলাররা যেহেতু ম্যাচ চলাকালে ছোট করে পানি পান করেই সামলে নেন, সেখানে টানা তিন মিনিটের বিরতি কতটা প্রয়োজন সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। ছন্দ হারানোর শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এটা কি সত্যিই স্বাস্থ্যগত সিদ্ধান্ত নাকি বাড়তি বিজ্ঞাপন প্রচারের নতুন উইন্ড এই নিয়ে বিতর্ক চলবেই। নিয়মটি ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কোনো বড় প্রভাব ফেললে বিতর্ক আরও বাড়তে পারে। বরং বলা যায়, বিশ্বকাপ শুরু হলেও এই আলোচনার শেষ খুব শিগগির হচ্ছে না।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩




















